জেলায় করোনার দ্বিতীয় হটস্পট চকরিয়ায় মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পর্যটন শহর কক্সবাজারে রেড জোন ঘোষণা করে চলছে কঠোর লকডাউন। তবে চকরিয়াসহ কিছু কিছু এলাকায় লকডাউন মানা হচ্ছেনা। যার কারণে করোনা সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছেনা মোটেও।

আজ সোমবারও চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ মাঠে লাইন ধরে চাল নিয়েছে স্থানীয়রা। এতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। মাক্সও পরেনি কেউ। পুলিশের তরফ থেকেও কোন ধরণের বাধা ছিলনা। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মানুষের দীর্ঘ লাইনের বিষয়টি পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিধান চন্দ্র রৌদ্রকে জানানো হলে তিনিও কোন ধরণের ব্যবস্থা নেননি।

করোনা মহামারী থেকে পৌরবাসিকে রক্ষা করতে গত ৬ জুন শুরু হয়েছে এই লকডাউন। লকডাউন বাস্তবায়নে এবং মানুষকে ঘরে রাখতে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সদস্যরা সকাল-সন্ধ্যা পরিশ্রম করে চলেছে। তাছাড়া লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবকরাও কাজ করছে। এতে করে কিছুটা হলেও সুফল মিলছে বলে মনে করছেন এখানকার সচেতন মহল।

শহরের আলীর জাঁহাল এলাকার শিক্ষক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, করোনা একটি চোয়াছে ভাইরাস। এই রোগ থেকে বাঁচতে বা নিজেদের রক্ষা করতে হলে বাড়িতে থাকা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা ছাড়া উপায় নেই।

সোমবার সকালে শহরের প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সদর মডেল থানার শতাধিক পুলিশ মাঠে কাজ করছে। শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী আবদুল খালেক বলেন, পুলিশ এসে আমাদের দোকান বন্ধ রাখতে বলেছে। এটা আমার নিজের ও পরিবারের সুস্থতার কথা চিন্তা করেই বলছে পুলিশ।

এদিকে চকরিয়ায় ওসি তদন্ত সফিকুর রহমান ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এক প্রকারে থমকে গেছে চকরিয়ার পুলিশ সদস্যরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে কিনা, গাদাগাদি করে কোথাও ত্রাণ নিচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল নেই।

সোমবার সকালে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ মাঠে শত শত জনতা গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নিয়েছে। থানা পুলিশ এ খবর জানলেও এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।

কোরক বিদ্যাপীট মাঠে সোমবার সকালে চকরিয়ায় কর্মহীন যুবকদের মাঝে চাল বিতরন করা হয়েছে। সেখানে সকল বয়সী লোকজনকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে চাল নিতে দেখা গেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সরকার বিভিন্নভাবে প্রচার করছে। চকরিয়ায় কিছু সংখ্যক ব্যক্তি তা মোটেও মানছেনা।

ফলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রবিবার পর্যন্ত চকরিয়ায় ২৫৮জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। /জনকণ্ঠ